নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে দ্বন্দ্ব ভুলে নৌকার বিজয়ে কাজ করার অঙ্গীকার জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে আসা দলটির তৃণমূল নেতাকর্মীরা। একই সাথে স্মার্ট বাংলাদেশের স্লোগান বাস্তবায়নে সরকারকে সহযোগিতা করার কথাও বলেন তারা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন আওয়ামী লীগ এখন অনেক বেশি পোক্ত। ইতিহাসের নানা বাঁক বদলের সাক্ষী দলটির ২২তম জাতীয় সম্মেলনে যোগ দিতে সারাদেশ থেকে নেতাকর্মীরা সমবেত হয়েছেন রাজধানী ঢাকাতে।
তারা সূর্যের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই চলে আসেন রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সম্মেলন স্থলে। আসেন প্রবাসীরাও। সম্মেলন শেষে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটিতে কারা আসছেন, তা জানতেই আগ্রহী ছিলেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
তবে দলটির সভাপতি হিসাবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার ওপর তাদের অগাধ আস্থা। জানালেন, আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ পদে তারা শেখ হাসিনাকে ছাড়া আর কাউকেই চিন্তা করতে পারেন না। তিনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন তাতেই তারা খুশি থাকবেন বলে জানান সম্মেলনে আসা কর্মীরা।
সকাল থেকে সাদা পাঞ্জাবি-কালো কোটসহ রঙ বেরঙের নানা পোশাক আর ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সম্মেলন স্থলে জড়ো হতে থাকেন তারা। কাউন্সিলে ১৫ হাজার নেতা যোগ দিতে পারলেও উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে সারাদেশ থেকেই আসন নেতা-কর্মীরা।
শাহবাগের মোড় থেকে শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, রাজু ভাস্কর্য, হাকিম চত্বর, দোয়েল চত্বর,মৎস্য ভবন, রমনা গেইটসহ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের চার দিকেই উৎসবের আমেজে নেতা-কর্মীরা অবস্থান নেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই মিছিলে মুখ বাড়তে থাকে।
সম্মেলনে সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। জানান, সরকারবিরোধী আন্দোলন মোকাবেলায় প্রস্তুত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তিনি বলেন, আগুন সন্ত্রাস মোকাবিলা করতে আওয়ামী লীগ প্রস্তুত।
তিনি আরও বলেন, ভোট চুরি, দুর্নীতি, ভোট জালিয়াতি, লুটপাট, অর্থ পাচার, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে খেলা হবে। খেলা হবে, আবারও হবে, নির্বাচনে হবে, আন্দোলনে হবে। আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষরা হিংসায় জ্বলে, মনে বড় জ্বালা, পদ্মা সেতু হলো, মেট্রোরেল উদ্বোধন করবেন। এই জ্বালা আর সইতে পারে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতিপক্ষরা জানে যে নির্বাচন করলে শেখ হাসিনার সঙ্গে পারবে না। তাই সরকার হটাবে। শেখ হাসিনাকে হটাতে পারলে ময়ূর সিংহাসন পাবে বলে ভাবছেন তারা। কিন্তু তা পাবে না। ১০ ডিসেম্বর পারেনি, অশ্বডিম্ব পেয়েছে। ৩০ তারিখেও ঘোড়ায় ডিম পাবে ।
এ সময় তৃণমূল নেতাকর্মীরা কোন্দল মিটিয়ে ঐক্যবদ্ধ হবার কথা জানান তারা। তাদের প্রত্যাশা, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে শক্তিশালী ও গতিশীল করতে এবার নবীন-প্রবীণদের সমন্বয়ে নেতৃত্ব গঠন করা হবে। নবীন-প্রবীণের মিলন মেলাই রাজনীতির সৌন্দর্য।
সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে আগামী নির্বাচনে নৌকার বিজয়ে কাজ করার কথা জানান, তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তবে কমিটি নিয়ে নেত্রীর যে কোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেয়ার কথাও জানান তারা। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কোনো বিকল্প নেই বলেন মনে করে নেতাকর্মীরা।