Thursday, December 7, 2023

লেখা হলো আরেকটি ইংলিশ রূপকথা

তারিখ:

মেলবোর্নে ১৯৯২ -এর ওয়ানডে বিশ্বকাপের স্মৃতির পুনরাবৃত্তি করতে চেয়েছিলো পাকিস্তান। সেবার এই ভেন্যুতেই ইংল্যান্ডকে ফাইনালে হারিয়ে ওয়ানডেতে নিজেদের ইতিহাসে একমাত্র বিশ্বকাপ শিরোপা জেতে বাবর আজমরা।

অপরদিকে মুখে ইংল্যান্ডের কেউ প্রতিশোধ শব্দটা উচ্চারণ না করলেও পাকিস্তানকে হারিয়ে পূর্বসূরিদের সেই পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই মাঠে নেমেছিলো বাটলার-হেলসরা। অবশেষে তাই হলো। পাঁচ উইকেটে নিজেদের হিসেব ঠিকঠাক মিটিয়ে নিলো বাটলার বাহিনী। আর এরই মাধ্যেম তিন দশকের পুরনো সেই ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দিলো ইংলিশরা।

টি-টোয়েন্টির বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড

গ্রুপ পর্বে বিদায়ের শঙ্কা থেকে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের ফাইনালে পা রেখেছিল পাকিস্তান। ঠিক পঞ্চাশ ওভারের ৯২ আসরের মতো। প্রতিপক্ষ হিসেবে ইংল্যান্ডকে পেয়ে যাওয়ায় ৩০ বছর আগের ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি দেখাতে চেয়েছিলেন বাবর আজমরা। কিন্তু ইতিহাস ফিরে আসেনি! বরং ৫ উইকেটের সহজ জয়ে পাকিস্তানের হৃদয় ভেঙে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইংল্যান্ড।

রোববারের (১৩ নভেম্বর) ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে পাকিস্তান ৮ উইকেট হারিয়ে তুলতে পারে মাত্র ১৩৭ রান।

জবাবে ১ ওভার হাতে রেখেই ইংল্যান্ড বনে যায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।

ম্যাচের শুরুতে ভালোই চাপে পড়েছিলো ইংল্যান্ড। ওপেনার অ্যালেক্স হেলস ১ রান করে শাহিন শাহ’র প্রথম ওভারেই ফিরে যান।

তিনে নামা ফিল সল্ট ১০ রানের ইনিংস খেলেন। অধিনায়ক ও দলের সেরা ব্যাটিং ভরসা জস বাটলার দলকে আশা দিলেও ১৭ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ২৬ রান তুলে সাজঘরে ফেরেন। ৫.৩ ওভারে ৪৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে তখন কিছুটা বিপদে ইংল্যান্ড।

এরপর পেস অলরাউন্ডার বেন স্টোকস ৪৯ বলে পাঁচটি চার ও এক ছক্কায় ৫২ রানের দারুণ ইনিংস খেলে ওই চাপ সামলে দলকে এক ওভার হাতে থাকতে জয় এনে দিয়েছেন।

হ্যারি ব্রুক ২৩ বলে ২০ রানের ছোট ইনিংস খেললেও গুরুত্বপূর্ণ একটি জুটি দিয়েছেন।

স্পিন অলরাউন্ডার মঈন আলী ১৩ বলে তিন চারে ১৯ রানের আত্মবিশ্বাসী ইনিংস খেলে দলের জয়ের পথ সহজ করেন। দেশকে দ্বিতীয় টি-২০ বিশ্বকাপের শিরোপা এনে দেন।

৯ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা দিয়েছিল আইসিসি। সেখান থেকে নির্বাচক ও সমর্থকদের ভোটে প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট হয়েছেন ইংল্যান্ডের স্যাম কারেন। এছাড়া ফাইনালে দুর্দান্ত বোলিংয়ের জন্য ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৩৭/৮ (রিজওয়ান ১৫, বাবর ৩২, হারিস ৮, শান ৩৮, ইফতিখার ০, শাদাব ২০, নাওয়াজ ৫, ওয়াসিম ৪, শাহিন ৫*, হারিস ১*; স্টোকস ৪-০-৩২-১, ওকস ৩-০-২৬-০, কারান ৪-০-১২-৩, রশিদ ৪-১-২২-২, জর্ডান ৪-০-২৭-২, লিভিংস্টোন ১-০-১৬-০)।

ইংল্যান্ড: ১৯ ওভারে ১৩৮/৫ (বাটলার ২৬, হেলস ১, সল্ট ১০, স্টোকস ৫২*, ব্রুক ২০, মইন ১৯, লিভিংস্টোন ১*; শাহিন ২.১-০-১৩-১, নাসিম ৪-০-৩০-০, হারিস ৪-০-২৩-২, শাদাব ৪-০-২০-১, ওয়াসিম ৪-০-৩৮-১, ইফতিখার ০.৫-০-১৩-০) মঈন বোল্ড।

মঈন বোল্ড

১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ঘুরে দাঁড়ালেন ওয়াসিম। তার ইয়র্কারে বোল্ড হয়েছেন মঈন আলী।

জনপ্রিয় সংবাদ