নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে ডাকাতি ও স্বর্ণালংকার লুণ্ঠনের ঘটনায় সাত ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারের সময় অভিযুক্তদের কাছ থেকে একটি পাইপগান, দুটি শাবল, তিনটি দা ও ১৯ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (২১ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম।
গ্রেপ্তার ৭ জন আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের খোরশেদ আলম টিপু (৩৭), ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চরচান্দিয়ার মহিষচর গ্রামের নূর কাশেম মোহন (২৬), ভোলার তজুমুদ্দির দক্ষিণ চাচড়া গ্রামের ইউছুফ (৩৫), নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার উত্তর বাগ্গা গ্রামের ফারুক (৪০), বেগমগঞ্জের ছয়ানী ইউনিয়নের বড় মেহেদীপুর গ্রামের মুরাদ হোসেন (২৫), সদর উপজেলার দাউদপুর গ্রামের রুবেল (২৬) ও সেনবাগের গাজীরহাট গ্রামের নূর ইসলাম (৩৫)।
পুলিশ জানায়, গত ২৭ অক্টোবর রাতে সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড পূর্বপাড়া চাঁদ মিয়া বেপারি বাড়ির জাকির হোসেনের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
ডাকাতিকালে ১০ থেকে ১৫ জনের একটি দল ওই বাড়ির জাকিরের বসত ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে ঘরে থাকা লোকজনকে জিম্মি করে এবং বেঁধে ফেলে।
পরে ডাকাতদল ওই ঘর থেকে প্রায় ৩১ ভরি স্বর্ণ, দুটি ডায়মন্ড সেট, নগদ ৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকাসহ প্রায় ৩৭ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় গত ২৮ অক্টোবর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী।
অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে ও সোনাইমুড়ী থানার ওসি জিয়াউল হকের নেতৃত্বে রোববার রাতে নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রামের পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে ৭ ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে নিখোঁজ শিক্ষার্থীর মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার
পরে অভিযুক্তদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন স্বর্ণের দোকান থেকে স্বর্ণগুলো ও তাদের হেফাজত থেকে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়।
আসামিদের সোমবার দুপুরে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়।