মানিকগঞ্জ সদরে ভগ্নীপতিকে হত্যা মামলার আসামি শ্যালক সোহেল নুরুন নবীকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। এর আগে হত্যার ২৪ ঘণ্টার ভেতরে সোহেল নুরন নবীকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।
চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারক আব্দুর নূরের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাকে জেলহাজতে পাঠানো নির্দেশ প্রদান করেন।
নিহত রুবেল মিয়া কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার তারাশ্বর এলাকার রেনু মিয়ার ছেলে।
আসামি ২৬ বছরের সোহেল নেত্রকোণার কেন্দুয়ার রাজনগর এলাকার মৃত আলতু মিয়ার ছেলে ও নিহতের শ্যালক।
পুলিশ জানান, গত শুক্রবার মধ্যরাতে মানিকগঞ্জ সদরের কৈতরা এলাকার মামুনের হ্যাচারিতে ইট চুরি করে বিক্রি করাকে কেন্দ্র করে ভগ্নীপতি রুবেল মিয়াকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা ও জবাই করে অভিযুক্ত। ঘটনার পর পুলিশ শ্যালক সোহেলকে আটক করে এবং মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
পরদিন নিহতের স্ত্রী চম্পা বেগম বাদি হয়ে সোহেল নুরুন নবীকে আসামি করে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান, আটকের পর হত্যার বিষয়টি শিকার করলে রোববার তাকে কোর্ট পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয় এবং ২৪ ঘণ্টার ভেতর সোহেলের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। এরপর বিচারক তাকে সোমবার দুপুরে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন এবং বিকেলে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।