Tuesday, November 28, 2023

মায়ের মরদেহ শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন মরিয়মের

তারিখ:

ময়মনসিংহের ফুলপুরে এসে মায়ের মরদেহ শনাক্ত নিশ্চিত করতে না পেরে ফিরে গেছেন খুলনার মরিয়ম মান্নান। এর আগে ‘মায়ের লাশ পাওয়া গেছে, লাশ আনতে ময়মনসিংহের ফুলপুর থানায় যাচ্ছি’- ফেসবুকে এমন পোস্ট দিয়েছিলেন মরিয়ম।

শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) মায়ের মরদেহ শনাক্ত করতে পুলিশের কাছে ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন করেছেন মরিয়ম ও তার বোন।

পুলিশ বলছে, ডিএনএ পরীক্ষার পরই নিশ্চিত জানা যাবে ফুলপুরে উদ্ধার বস্তাবন্দী অজ্ঞাতনামা মরদেহটি কার।

মা রহিমার লাশ শনাক্ত করতে ফুলপুর আসছি- বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে একথা পুলিশকে মুঠোফোনে জানিয়ে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ময়মনসিংহের ফুলপুর থানায় আসেন মরিয়ম মান্নান।

এসময় তার সাথে ছিল র‌্যাব ও পিবিআইসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। কিন্তু গত ১০ সেপ্টেম্বর ফুলপুরে উদ্ধার করা বস্তাবন্দী অজ্ঞাতনামা ২৮-৩০ বছরের নারীর ব্যবহৃত জামাকাপড় দেখে সেটি মায়ের মরদেহ কিনা তা নিশ্চিত হতে না পেরে দুপুরের দিকে ফিরে যান মরিয়ম।

জানা গেছে, ফিরে যাবার আগে ফুলপুর থানা পুলিশের কাছে ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন করেছেন মরিয়ম ও তার বোন।

ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন, আদালতে আবেদন মঞ্জুর ও ডিএনএ পরীক্ষায় নিশ্চিত হলেই জানা যাবে ফুলপুরে উদ্ধার করা বস্তাবন্দী অজ্ঞাতনামা মরদেহটি মরিয়মের মায়ের কিনা।

থানায় আসার পর সাংবাদিকদের কাছে মরিয়ম মান্নান অজ্ঞাতনামা নারীর গলিত মরদেহের ছবি দেখে দাবি করেন, এটিই তার মা। তবে উদ্ধার করা মরদেহের পরনের জামাকাপড় দেখে অবশ্য নিশ্চিত হতে পারেননি তিনি।

কারা মায়ের হত্যাকারী এমন প্রশ্নে মরিয়ম জানান, মায়ের লাশ খুঁজে বের করাই এখন জরুরি।

‘মামলা দিয়ে কি হবে, আসামীদের ফাঁসি হলে মাকে পাব?’- এমন প্রশ্ন রেখে মরিয়ম বলেন, মাকে ফিরিয়ে দেন খুলনা শহর ছেড়ে দেব। তবু মাকে খুঁজে পেতে চাই।

উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট খুলনা থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন মরিয়মের মা রহিমা। এই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় খুলনা পুলিশ এ পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

ফুলপুর থানা পুলিশ লাশ শনাক্তে মরিয়ম ও তার বোন মামলার বাদীর ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন নিয়েছে। রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) এই আবেদন জমা দেয়া হবে ময়মনসিংহের আদালতে। তবে পরীক্ষার ফল জানতে অপেক্ষা করতে হবে অন্তত তিন মাস।

জনপ্রিয় সংবাদ