নড়াইলে জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের সময় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ভাংচুর ও প্রতিপক্ষের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নড়াইল জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রথমে সংরক্ষিত মহিলা ও পরে পুরুষ ওয়ার্ডের প্রতীক বরাদ্দের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
এদিন পুরুষ ২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রতিক বরাদ্দ শুরু হলে খোকন কুমার সাহা ও ওবায়দুর রহমান দুইজন প্রার্থীই তালা মার্কা চান। নির্বাচনী বিধান অনুযায়ী একই মার্কা দু’জন চাইলে লটারীর মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রাক্কালে খোকন কুমার সাহা ওবায়দুর রহমানকে জেলা প্রশাসকের হলরুমে প্রকাশ্যে সকল কর্মকর্তার সামনে গালিগালাজ করে মুখে ঘুষি মারলে ওবায়দুরও পাল্টা ঘুষি মারেন।
এদিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটুর পক্ষে প্রস্তাবকারী নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের সদস্য মো: শরিফুল ইসলাম ও সমর্থনকারী কাশিপুর ইউুনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সৈয়দ নওয়াব আলী বসে থাকা অবস্থায় হটাৎ করে কিছু সন্ত্রাসী তাদের বেধড়ক মারপিট শুরু করে। এ সময় তারা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে চেয়ার ভাংচুর করে।
এ বিষয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু বলেন, আমার অনুপস্থিতিতে আমার প্রতীক আনতে যান আমার প্রস্তাবকারী, সমর্থনকারীসহ আমার পক্ষের লোকজন। জেলার সর্বোচ্চ নিরাপত্তাস্থল জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আমার লোকজনকে মারপিট করেছে। এতে আমার প্রস্তাবকারী নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের সদস্য মো: শরিফুল ইসলাম ও সমর্থনকারী কাশিপুর ইউুনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সৈয়দ নওয়াব আলী, নোয়াগ্রাম সাবেক চেয়ারম্যান জাহিদুল কালু, শামুকখোলা গ্রামের কামাল কাজী, লাবু কাজী, জাকির কাজী আহত হয়েছেন। আমি মামলা করবো এবং উপযুক্ত বিচার চাই।
আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এ্যাডভোকেট সুবাস বোস বলেন, আমি আনারস প্রতিক চেয়েছি ওদিকে সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটুও আনারস চেয়েছে। তখন লিটুর লোকজন বলে ওঠে আমরা যদি আনারস না পাই তাহলে কেন এসেছি। এ কথা শোনার পরে আমার লোকজনের সাথে সামান্য হাতাহাতি হয়।
এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো: জসিম উদ্দিন হামলা মারামারি ও ভাংচুরের ঘটনা স্বীকার করে বলেন, জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো: হাবিবুর রহমান স্যারের নির্দেশে কিছু সময়ে প্রতীক বরাদ্দের কাজ বন্ধ রাখি। পরে আপোষ হলে কার্য্যক্রম শেষ করি।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো: হাবিবুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে কাউন্সিলর প্রার্থী ওবায়দুর রহমান ও খোকন কুমার সাহাকে শোকজ করা হবে এবং নির্বাচন কমিশনে জানানো হবে।
বিদ্রোহী প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটুর লোকজনের উপর হামলা ও হলরুমের চেয়ার ভাংচুরের বিষয়ে এ কর্মকর্তা বলেন, প্রার্থী যদি লিখিত অভিযোগ করে তাহলে আমরা বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।