জ্বালানি তেলের মুল্য বৃদ্ধির পর ভাড়া সমন্বয় করা হয়েছে, তবে তারপরেও রাজধানীতে অনেক গণপরিবহনই নামেনি রাস্তায়। এতে রোববার, সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে চরম ভোগান্তি পোহান সাধারণ মানুষ।
সেই ভোগান্তি আরও বেড়ে যায়, যখন নতুন নির্ধারিত বাড়তি ভাড়ার চেয়েও বেশি ভাড়া হাঁকান বাসের হেলপাররা। নতুন নির্ধারিত ভাড়া কার্যকরের প্রথম দিনের চিত্র ছিল এমনটাই।
নতুন ভাড়া কার্যকরের প্রথম দিনে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে দেখা গেছে পরিবহন সংকট। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর বাস পাওয়া গেলেও ঠাসাঠাসি করে যেতে হয়েছে গন্তব্যে।
বাসচালক ও হেলপাররা বলছেন, ভাড়ার চার্ট না পাওয়ায় রাস্তায় নামেনি অনেক বাস। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকে।
একজন যাত্রী বলেন, ‘সকাল থেকে দাঁড়িয়ে আছি, হাইকোর্ট যাবো, কিন্তু কোনো বাস নাই। এখন অপেক্ষা করা ছাড়া তো আর উপায় নাই।’
আরেকজন যাত্রী বলেন, ‘বাস আসলেও ওঠার কোনো ক্যাপাসিটি নাই, সিএনজিও পাওয়া যাচ্ছেনা।’
এদিকে বাসে ওঠার পরেও ঝামেলা। নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ যাত্রীদের।
রাজধানী থেকে ছেড়ে যাওয়া দূরপাল্লার বাসগুলোতেও একই চিত্র। সরকারের বেঁধে দেয়া চার্টের বাইরে খেয়ালখুশি মতো নেয়া হচ্ছে ভাড়া।
একজন যাত্রী বলেন, ‘আগে মতিঝিল থেকে আগারগাঁও ভাড়া ছিলো ২৪ টাকা, এখন চাচ্ছে ৪০ টাকা, ভাড়া বাড়ছে কত পার্সেন্ট, এটার কোনো চার্ট নাই।’
অন্য একজন যাত্রী বলছেন, ‘সাধারণ মানুষের বেতন তো আর বাড়েনি, তারা কিভাবে এটা মেইনটেইন করবে?’ তবে নতুন ভাড়ার চার্ট পেলে সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।