বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জড়িত পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি। মানবাধিকারের বিষয়ে সোচ্চার দেশগুলো বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের ফিরিয়ে দিচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের এ নেতা।
সোমবার (১৫ আগস্ট) সকালে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর ও কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দোয়া মাহফিলে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয়।
এ সময় যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান কামরুল ইসলাম।
প্রসঙ্গত, ১৫ আগস্ট বাংলার আকাশ-বাতাস আর প্রকৃতিরও অশ্রুসিক্ত হওয়ার দিন। পঁচাত্তরের এই দিনে নরপিশাচরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই নয়, হত্যা করেছিল একটি দেশের ভবিষ্যৎ ও অগ্রযাত্রাকে।
মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত অপশক্তির ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি। পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে তারা একের পর এক চক্রান্তের ফাঁদ পেতেছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর বিপথগামী কিছু সদস্যকে ষড়যন্ত্রকারীরা ব্যবহার করেছিল ওই চক্রান্তেরই বাস্তব রূপ দিতে।
পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট সুবেহ সাদিকে যখন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে নিজ বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে বুলেটের বৃষ্টিতে ঘাতকরা ঝাঁজরা করে দিয়েছিল, তখন যে বৃষ্টি ঝরছিল, তা যেন ছিল প্রকৃতিরই অশ্রুপাত। ঘাতকদের উদ্যত অস্ত্রের সামনে ভীতসন্ত্রস্ত বাংলাদেশ ঢাকা পড়েছিল শোকে।
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায়ে ১২ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। এর মধ্যে ছয়জনের রায় কার্যকর করা হয়েছে। দণ্ডিত আসামি আবদুল আজিজ পাশা পলাতক অবস্থায় জিম্বাবুয়েতে মারা যান। আর এখনো পলাতক রয়েছে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামি।
তাদের মধ্যে রাশেদ ও নূর চৌধুরীর অবস্থান নিশ্চিত করা গেলেও অপর তিনজনের হদিস অজানাই রয়ে গেছে সরকারের কাছে। অবস্থান শনাক্ত হওয়া দুজনকে ফেরাতে কূটনৈতিক তৎপরতা চললেও নেই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি।
বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের বিষয়ে ইন্টারপোল থেকে রেড নোটিশ জারি করা আছে। ২০০৯ সালে এ নোটিশ জারি হয়।