দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) বেদব এলাকায় বিরল দুই মাথাযুক্ত (Two Headed Snake) সাপ ধরা পড়েছে। যেখানে এই সাপটি পাওয়া যায়, সেই সম্পত্তির মালিক এটি একটি কাঁচের পাত্রে রেখেছিলেন। এর পরে তিনি সাপ সংরক্ষণ কর্তা নিক ইভান্সকে ফোন করেন। যাতে নিক তাকে নিয়ে যেতে পারে। নিক ইভান্স কেজেডএন উভচর এবং সরীসৃপ সংরক্ষণের প্রতিষ্ঠাতা।
নিজের ফেসবুক পোস্টে এই সাপের ছবি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, “আমি সম্প্রতি উত্তর ডারবানের ব্রাই এলাকার কাছে ছিলাম। তারপর Ndwedwe থেকে একটা ছবি আমার কাছে এল সেটা ছিল একটা দুই মুখের সাপের ছবি। এটি একটি সাউদার্ন ব্রাউন এগ-ইটার সাপ। তবে এরা ক্ষতিকর না।”
এই দু’মুখের সাউদার্ন ব্রাউন এগ ইটার হল একটি সাপ যা রাতে ঘুরে বেড়ায়। একটুও বিষাক্ত নয়। সাধারণত এর পুরো দৈর্ঘ্য ৩০ ইঞ্চি হয়। কিন্তু এই দুই মুখের সাপের দৈর্ঘ্য ছিল মাত্র ৩০ সেন্টিমিটার। অর্থাৎ এটি একটি শিশু সাপ। নিক ইভান্স বলেন, দুই মাথাওয়ালা সাপের একটা বড় সমস্যা হল, এটা কোন দিকে যাবে বোঝা যায় না, একটি মাথা একদিকে আরেকটি অন্য দিকে যেতে চায়।
নিক দেখেছেন বিশ্রাম
নেওয়ার সময় এই দুই মুখের সাপ এক মাথার উপরে অন্য মাথা রাখে। সাউদার্ন ব্রাউন এগ ইটারের নাম থেকে এটা স্পষ্ট যে এটি ডিম খায়। এটির দাঁত নেই, তবে তা সত্ত্বেও, এটি একবারে অনেকগুলি ডিম ভেঙে ভিতরে থেকে পুরো পদার্থকে খেয়ে ফেলে। কখনও কখনও পুরো ডিম সরাসরি গিলে ফেলে। এর ঘাড়ে সেই ডিমগুলি ফাটানোর ক্ষমতা আছে। পরে ডিমের খোসা বের হয়।
সাধারণত দু’মুখের সাপ খুব কমই দেখা যায়। এই অবস্থাকে বাইসফেলি বলা হয়। জানা যায়, যমজ সাপ জন্মের আগে আলাদা হতে না পারলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। দশ হাজার সাপের জন্মের সময় যে কোনো একটি সাপকে এমন দেখায়। কিন্তু তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। খুব কমই দু’মাথাওয়ালা সাপই বেশিদিন টিকে থাকতে পারে।
এখন এই দু’মুখের সাপ নিক ইভান্স থেকে পেশাদার মানুষের কাছে চলে গেছে। তার স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া হচ্ছে। কয়েকদিন ধরে তাকে অধ্যয়ন করার পর তাকে আবার জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে। কারণ বিজ্ঞানীরা জানতে চান এরা দীর্ঘজীবী হয় কিনা। এর জন্য এটিকে জঙ্গলে, প্রাকৃতিক আবাসস্থলে ছেড়ে দেওয়া প্রয়োজন।