হত্যাকাণ্ডের স্বীকার শিশু সিয়ামের সম্পর্কে নানী হন তিনি। মঙ্গলবার সকালে ঘটা এ হত্যাকাণ্ডের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই আসামী শনাক্ত ও আটক করে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে নিজ কার্যালয়ে জেলা পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা জানান, শিশু সিয়ামের মা সাবিনা খাতুনের আপন খালা আসামী মালতি। সাবিনার ভাইয়ের জমজ ছেলের মধ্যে একজন কে দত্তক নিতে চেয়েছিলেন মালতি বেগম। সাবিবার ভাই তার ছেলেকে দত্তক দিতে অস্বীকৃতি জানালে এ বিষয়ে সাবিনার ভাইয়ের বাড়ি সারিয়াকান্দি উপজেলায় ক’দিন আগে মালতির সাথে বাকবিতন্ডা হয়। তখন থেকেই নানান সময়ে সাবিনার ছেলে সিয়ামের কোন ক্ষতি করার হুমকিও দিয়ে আসছিলো আমেনা বলে দাবি সাবিনার। ঘটনার দিন সকাল বেলা আমেনা চকলেটের প্রলোভন দিয়ে শিশু সিয়ামকে বাড়ির বাইরে দূরে জনশূন্য এলাকায় নিয়ে যায়। এবং তাকে নির্মমভাবে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায় আমেনা। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ তাকে আটক করে।
আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে বিস্তারিত বর্ণনাও দেয় আমেনা৷ তার দাবি ক্রোধের বশবর্তী হয়েই ঘটিয়েছে নির্মম এই হত্যাকাণ্ড। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় সিয়ামকে হত্যায় ব্যবহৃত হাঁসুয়া ও হত্যাকাণ্ডের সময় আমেনার পরনে থাকা বোরকা।
শিশু সিয়াম হত্যাকাণ্ডের আরো বিস্তারিত জানতে আসামী আমেনাকে রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলেও জানায় পুলিশ।