শ্রীলঙ্কা শিবিরে জোড়া আঘাত হেনে বাংলাদেশকে শুভ সূচনা এনে দিয়েছিল নাঈম হাসান। পরের সেশনটায় আধিপত্য করেছে লঙ্কানরা। এদিকে চা বিরতির পর তাইজুলের ঘূর্ণিতে ফের ম্যাচে ফেরেন টাইগাররা। তার আঘাতের পর উইকেটের দেখা পেয়েছেন সাকিব আল হাসানও। আর তাতে স্বস্তি ফিরেছে টাইগার শিবিরে।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৭০ ওভারে শ্রীলঙ্কা ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯১ রান করেছে। ক্রিজের একপ্রান্তে ৭৭ রানে অপরাজিত আছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। অন্যপ্রান্তে দিনেশ চান্দিমাল ব্যাট করছেন ৪ রানে।
এর আগে চা বিরতি শেষে ক্রিজে আধিপত্য করে ফিফটি হাঁকানো কুশাল মেন্ডিসকে সাজঘরে ফেরান তাইজুল। ইনিংসের ৫৭তম ওভারে তার করা প্রথম বল মিড উইকেটে থাকা ফিল্ডার নাঈমের হাতে তুলে দেন মেন্ডিস। ১৩১ বল মোকাবিলায় ৫৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
এরপর বোলিংয়ে এসে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব। ইনিংসের ৬৬তম ওভারে এসে ধনাঞ্জয়াকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন সাকিব। তবে টাইগারদের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। পরে অবশ্য রিভিউ নিলে সিদ্ধান্ত স্বাগতিকদের পক্ষেই যায়।
এর আগে শ্রীলঙ্কা শিবিরে জোড়া আঘাত হেনেছিলেন নাঈম হাসান। করুণারত্নেকে ফেরানোর পর তার শিকার হয়েছিলেন ওশাদা ফার্নান্দো। ফার্নান্দো আউট হন ব্যক্তিগত ৩৬ রানে। তাকে করা নাঈমের বলটি ব্যাট ঘেঁষে চলে যায় উইকেটরক্ষক লিটন দাসের তালুতে। আম্পায়ারও আউট দেন লঙ্কান ওপেনারকে। কিন্তু ওশাদা রিভিউ নেন। রিভিউয়ে দেখা যায়, বল আসলেই তার ব্যাটের গায়ে লেগেছিল। ফলে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
এর আগে নাঈম হাসান নিজের প্রথম ওভারে এসেই ফিরিয়ে দেন দলপতি দিমুথ করুণারত্নেকে। পঞ্চম বলে সফল হন নাঈম। তার বলটি যাচ্ছিল লেগ স্টাম্প বরাবর। করুণারত্নে ব্যাট চালালেও আগে তার পা ছুঁয়ে যায় নাঈমের বল। বাংলাদেশের ফিল্ডাররাও জোর আবেদন জানান, তাতে সফলও হয় টাইগার শিবির। ১৭ বলে ৯ রান করে আউট হন করুণারত্নে।