তবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রের হল অব ফেমে ফারিণের হয়ে পুরস্কার নেন তাঁর মা সৈয়দা শারমিন। তাঁর মা যখন হলভর্তি দর্শকের করতালির মধ্যে পুরস্কার গ্রহণ করছেন, তখন ফারিণ সুদূর যুক্তরাজ্যে শুটিংয়ে ব্যস্ত। সেখানে চলছে তাঁর প্রথম চলচ্চিত্র ‘আরও এক পৃথিবী’র শুটিং। ছবিটি পরিচালনা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত পরিচালক অতনু ঘোষ।ফারিণের মা সৈয়দা শারমিন মেয়ের পুরস্কার গ্রহণ করেন দিলারা জামান ও সুজিত মুস্তাফার হাত থ
মায়ের ফোনে ফারিণ প্রথম জানতে পারেন তাঁর মেরিল–প্রথম আলো পুরস্কার পাওয়ার খবর। অনলাইনে দেখেন মায়ের পুরস্কার গ্রহণের ভিডিও।
সেই সময়ের অনুভূতি হোয়াটসঅ্যাপে প্রথম আলোকে জানালেন ফারিণ, ‘ব্যাগে ফোনটা বারবার ভাইব্রেট করছিল। শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকায় ফোনটা ধরতেও পারছিলাম না। দৃশ্যধারণ শেষ হওয়ার পর ফোন হাতে নিয়ে দেখি অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী শুভেচ্ছা জানিয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন। দেখলাম মা ফোন করেছিলেন। ভিডিও ক্লিপও পাঠিয়েছিলেন। মাকে ফোন করে সব জানলাম।’
ফারিণ আরও জানান, পুরস্কার পাওয়ার পর অভিনয়শিল্পী শবনম ফারিয়া, তৌসিফ, জোভান, সংগীতশিল্পী ইমরান, পরিচালক শিহাব শাহিনসহ তাঁর অনেক সহকর্মীরা শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন।
মেরিল–প্রথম আলো পুরস্কার-এ প্রথম মনোনয়নেই পুরস্কার জিতে নেওয়া। খবর শুনে কেমন লেগেছিল? ফারিণ বলেন, ‘ভালো–মন্দ দুটিই লেগেছে। পুরস্কার পাওয়ার আনন্দের মাঝে খারাপও লাগছিল। কারণ, গুণী মানুষের হাত থেকে হলভর্তি মানুষের সামনে নিজ হাতে পুরস্কারটা নিতে পারলাম না। এটি একটি সুন্দর ছবির ফ্রেমও হতে পারত। হলো না। আফসোস।’
প্রত্যাশা ছিল এই পুরস্কারের? ‘টু বি অনেস্ট, আমার প্রত্যাশা ছিল না। কারণ, আমি মনে করি একজন অভিনেতার জীবনে পুরস্কার পাওয়াটা বোনাস। আমি যখন কাজ করি, পুরস্কারের চিন্তা মাথায় থাকে না আমার। আমি ভাবি, আমার কাজটুকু কতটুকু গুরুত্বসহকারে, ভালোভাবে করতে পারছি। আর ভালো কাজ হলে তো পুরস্কার এমনিতেই আসবে,’ বলেন ফারিণ।
পুরস্কার পাওয়ার খবরে যুক্তরাজ্যে তাঁর ছবির সহকর্মীরাও অনেক খুশি। ফারিণ বলেন, ‘ওই সময় পরিচালক অতনু ঘোষ, অভিনেতা কৌশিক (গাঙ্গুলি) দাদাসহ ইউনিটের অনেকে ছিলেন। মেরিল–প্রথম আলো পুরস্কার সম্পর্কে তাঁদের ধারণা আছে। শোনার পর আমার জন্য তাঁরা শুভকামনা জানিয়েছেন।’
আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে দেশে ফেরার কথা আছে ফারিণের। দেশে ফিরে এই পুরস্কার প্রাপ্তির উদ্যাপন করবেন বলেও জানান তিনি।