প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি স্পিনার শেন ওয়ার্নের মৃত্যু হৃদরোগজনিত কারণে হয়েছে। তবে থাই পুলিশ ওয়ার্নের রুমে রক্ত পাওয়ার কথা জানালে তার মৃত্যুরহস্য নিয়ে জট বাঁধে। অবশেষে সব সন্দেহের অবসান ঘটিয়ে মৃত্যুর তিন দিন পর ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বেরিয়ে এল কিংবদন্তির ৫২ বছর বয়সে মৃত্যুর আসল কারণ।

ময়দাতদন্তের রিপোর্ট পেয়ে সোমবার (৭ মার্চ) থাইল্যান্ডের পুলিশ নিশ্চিত করেছে, স্বাভাবিক কারণেই মৃত্যু হয়েছে শেন ওয়ার্নের। রিপোর্ট পাওয়ার পর ওয়ার্নের পরিবারকেও জানানো হয়েছে এ তথ্য। তারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। এখন দ্রুততার সঙ্গে ওয়ার্নের মরদেহ থাইল্যান্ড থেকে অস্ট্রেলিয়ায় নেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
থাই ডেপুটি ন্যাশনাল পুলিশের মুখপাত্র কিসানা পাথানাচরন এক বিবৃতিতে বলেন, আজকে (সোমবার) তদন্তকারীরা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেয়েছেন। যেখানে চিকিৎসকদের মতামত হলো, মৃত্যুর কারণ ছিল স্বাভাবিক। তদন্তকারী এ রিপোর্টের সারসংক্ষেপ দাঁড় করাবেন।
এদিকে রয়্যাল থাই পুলিশের পরামর্শক লেফট্যান্যান্ট সুরাচাত হাকপার্ন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এর আগেও ২০১৭ থেকে তিনবার থাইল্যান্ডের কো সামুই দ্বীপে ভ্রমণ করেছেন। গত সপ্তাহে তিন মাসের ছুটির শুরুতে চতুর্থবারের মতো থাইল্যান্ড গিয়েছিলেন ওয়ার্ন।
আনুষ্ঠানিক তদন্তের পর হাকপার্ন জানিয়েছেন, ওয়ার্নের ঘরে কোনো সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি। এমনকি হাতাহাতি বা কোনো জিনিস চুরি যাওয়ারও আলামত পাওয়া যায়নি। সোমবার রাতে সড়কপথে ব্যাংককে নিয়ে যাওয়া হবে ওয়ার্নের মরদেহ। সেখান থেকে মঙ্গলবার নেওয়া হবে অস্ট্রেলিয়ায়।
এর আগে শুক্রবার (৪ মার্চ) থাইল্যান্ডের কোহ সামুইয়ে ছুটি কাটাতে গিয়ে ৫২ বছর বয়সে না ফেরার দেশে চলে যান অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি স্পিনার শেন ওয়ার্ন। নিজ রুমে এই অজি কিংবদন্তির অকাল মৃত্যু হৃদরোগের কারণে হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে তিনি কি করেছিলেন তা প্রকাশ করেছেন ওয়ার্নের সঙ্গে থাকা তার এক বন্ধু।
শেন ওয়ার্ন যখন মারা যান তখন তিনি থাইল্যান্ডের কোহ সামুইয়ে নিজের ভিলায় ঘুমন্ত অবস্থান ছিলেন। ঘুমন্ত অবস্থায় তিনি হৃদরোগে মৃত্যুবরণ করেন। পুলিশ জানায়, মৃত্যুর আগে ভিলায় থাকা তার বন্ধুরা তাকে ২০ মিনিট সিপিআর (হৃদরোগের প্রাথমিক চিকিৎসা) দিয়ে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেন। তবে শেষ পর্যন্ত ওয়ার্নকে বাঁচাতে পারেনি তারা।
এদিকে থাই পুলিশের সুপারিনটেনডেন্ট ইয়ুত্তানা সিরিসোম্বাত বলেছেন, তার (ওয়ার্ন) আগে থেকেই হাঁপানি রোগ ছিল এবং হার্টের চিকিৎসকও দেখিয়েছিল। পরিবারের কাছ থেকে জেনেছি, অস্ট্রেলিয়া থাকতেই বুকে ব্যথাও অনুভব করেছিলেন ওয়ার্ন।
এদিকে দ্য স্পোর্টিং নিউজ ওয়েবসাইটের প্রধান নির্বাহী হল বলেছেন, ওয়ার্নের মৃত্যু অস্বাভাবিক ছিল না।