ইউক্রেন নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা ও উদ্বেগের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপে আরও এফ-১৫ যুদ্ধবিমান পাঠাচ্ছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে জো বাইডেনের টেলিফোন আলাপের পর বাংলাদেশ সময় সোমবার দিবাগত মধ্যরাতের পর এ খবর পাওয়া যায়। অবশ্য ফোনালাপে বাইডেন ও জনসন একমত হন যে, এখনো কূটনৈতিক সমাধানের সুযোগ আছে। তবে পরিস্থিতি খুবই নাজুক।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভও সোমবার বলেন, কূটনৈতিক উপায় এখনো শেষ হয়ে যায়নি। এর কয়েকঘন্টা আগে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস বলেছিলেন, যুক্তরাজ্য সরকারের কাছে এটা খুব স্পষ্ট যে, ইউক্রেনে একটি আক্রমণ হয়তো আসন্ন। তিনি ব্রিটিশ নাগরিকদের ‘তখনই’ ইউক্রেন ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
যুক্তরাষ্ট্র বলে আসছে, রাশিয়া যে কোনো সময় ইউক্রেনে হামলা করতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে সোমবার রাতে আরও খবর আসে যে, যুক্তরাষ্ট্র রাজধানী কিয়েভ থেকে দূতাবাস সরিয়ে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের ল্ভিভ শহরে নিয়ে গেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, রাশিয়ার সমরসজ্জা অনেক বেড়ে যাওয়ার কারণেই তা করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই দূতাবাসের অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন কর্মকর্তা-কর্মচারিদের ইউক্রেন ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জরুরি কাজের জন্য ছোট একটি দল রয়ে গেছে।
সোমবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও বলেছিলেন, ‘লক্ষণ বলছে, রাশিয়া সামরিক অভিযানের উল্লেখযোগ্যরকম প্রস্তুতি নিচ্ছে। ’ ইংল্যান্ডের উত্তর-পশ্চিমে একটি সফর সংক্ষিপ্ত করে লন্ডন ফেরার পর জনসনের মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। বাইডেন ও জনসনের ফোনালাপ স্থায়ী হয় ৪০ মিনিট।
অন্যদিকে রাশিয়া আবারও বলেছে, তাদের ইউক্রেন আক্রমণের কোনো ইচ্ছা নেই। দেশটি ‘বিপজ্জনক মিথ্যাচার প্রচারের জন্য’ পশ্চিমাদের অভিযুক্ত করেছে।
এদিকে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ সোমবার কিয়েভে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করেছেন। এসময় তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর ‘খুব সুদূরপ্রসারী নিষেধাজ্ঞা’ আরোপ করতে পারে। জেলেনস্কি তার দেশের সেনাবাহিনী ও জনগণের বীরত্বের প্রশংসা করে বলেছেন, ১৬ ফেব্রুয়ারি দেশজুড়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে ঐক্য দেখানো হবে।
রাশিয়া আশ্বাস চাইছে ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দিতে দেওয়া হবে না। তবে পশ্চিমা সামরিক জোটটির সদস্যরা তা মানতে নারাজ।