মিঠাপুকুর থানার ওসি (দায়িত্বপ্রাপ্ত) মো. জাকির হোসেন জানান, উপজেলার অভিরামপুর এলাকার ঐ গৃহবধূকে একই গ্রামের জবেদুল ইসলাম (২৫) গত চার রমজান ইফতারের দাওয়াত দিয়ে প্রতিবেশী ভাবি রাশেদা বেগম ও শাপলা বেগমের বাড়িতে ডেকে আনে। ইফতারের সময় পানীয়ের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে ঐ গৃহবধূকে অচেতন করা হয়। পরে জবেদুল ইসলাম ঐ গৃহবধূকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এরই মধ্যে দুই ভাবি ধর্ষণের ঘটনা মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে। পরে ঐ ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ঐ বাড়িতে ডেকে এনে গৃহবধূকে একাধিকবার ধর্ষণ করে করে জবেদুল।ওসি আরও জানান, মামলায় বলা হয়েছে, ঐ গৃহবধূর স্বামী ঢাকায় থাকেন। বিষয়টি তিনি অনেক দিন গোপন রেখেছিলেন। কিন্তু কয়েক দিন আগে আবারও গৃহবধূকে ভাবি শাপলা বেগমের বাসায় রাত যাপনের প্রস্তাব দেয় জবেদুল। উপায়ান্তর না দেখে পুরো বিষয়টি স্বামীকে খুলে বলেন ঐ গৃহবধূ। স্বামী ঢাকা থেকে এসে বিষয়টি শুনে মামলার প্রস্তুতি নিলে স্থানীয় কিছু মাতব্বর থানায় যেতে বাধা দেয় এবং নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে মীমাংসার চাপ দেয়। এরই মধ্যে তারা জবেদুলের কাছ থেকেও মীমাংসার নামে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। অবশেষে গত রবিবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করেন ঐ গৃহবধূ। এর আগেই রবিবার দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত জবেদুলকে আটক করে পুলিশ। মামলার পর গ্রেফতার দেখিয়ে গতকাল সোমবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
রংপুর পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (ডি-সার্কেল) কামরুজ্জামান জানান, স্থানীয় লোকজন ঘটনাটি আমাকে মোবাইল ফোনে অবহিত করলে বিষয়টি আমি পুলিশ সুপারকে জানাই। পরে তার নির্দেশে ঘটনাটি সরেজমিন পরিদর্শন করে মামলা গ্রহণের নির্দেশনা দেই। তিনি বলেন, এ ঘটনায় কেউ ছাড় পাবে না।