বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদে সংরক্ষিত ১৩টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে গত জুলাই মাসে মোট ১৮১ জন নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। এর মধ্যে ৭৩ কন্যা শিশু নির্যাতন এবং ১০৮ জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
জানা গেছে, জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাসে ৪৩১ জন কন্যা শিশুসহ ৬৯৭ নারী ধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার ৬৭ জন। তন্মধ্যে ২৮ কন্যা শিশু ধর্ষণের শিকার, পাঁচ কন্যা শিশু দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার, দুই কন্যা শিশু ধর্ষণের পর হত্যার শিকার ও ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যার শিকার হয়েছে এক জন। এছাড়াও চার কন্যা শিশুসহ ৯ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। এক জন শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে। এক কন্যা শিশুসহ পাঁচ জন যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে।
গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৪৩১ কন্যা শিশু ধর্ষণসহ মোট ৬৯৭ জন নারী ও কন্যা শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তন্মধ্যে ৪১ জন কন্যা শিশুসহ দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১০৪ জন নারী ও কন্যা শিশু। ১২ কন্যা শিশুসহ ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছেন ১৬ নারী ও কন্যা শিশু। ৩৪ কন্যা শিশুসহ যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন ৪৬ নারী ও কন্যা শিশু। ১২ কন্যা শিশুসহ উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছেন ২২ নারী ও কন্যা শিশু। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২৯ কন্যা শিশুসহ ৯৯ নারী। হত্যার শিকার হয়েছেন ৬২ কন্যা শিশুসহ ২২১ নারী। বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে ২২ কন্যা শিশু।